মাধবপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কেনাকাটা শপিং মলে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়
আপডেট সময় :
২০২৫-০৩-২৪ ১৯:৫১:৫৯
মাধবপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কেনাকাটা শপিং মলে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়
লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন পোশাক কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন, উপজেলার সকল মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা।
এদিকে, মাধবপুর পৌর বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের মার্কেট, বিপণী বিতান ও শপিংমল গুলোতে আসন্ন ঈদের কেনাকাটা বেশ জমে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণীবিতান গুলোতে শিশু, কিশোর-কিশোরী সহ নারী-পুরুষ ক্রেতাদের আনাগোনা রয়েছে। তবে নারী ক্রেতাদের ভীড় বেশি দেখা যাচ্ছে। নানা পেশার লোকজন তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মার্কেটগুলোতে ভীড় করছেন।
এবং মাধবপুর বাজার কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত মোঃ এমরান খান বলেন, আসন্ন মাহে রমজান মাস উপলক্ষে আমাদের পৌর বাজারে পকেটমার চোরের উপদ্রব থেকে বাঁচতে সকলকে সর্তক বার্তা দিয়েছি তার পাশাপাশি বাজারে যানজট মুক্ত রাখতে হলে ব্যবসায়ীরা যেন ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান না বসাতে পারে এবং যানজট মুক্ত রাখতে ইজিবাইক সিএনজি অটোরিকশা বাজারে যেন না প্রবেশ করতে পারে এই নির্দেশ মেনে চলার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে দর্জি দোকান গুলোতেও গ্রাহকের রুচি আর পছন্দের পোশাক আর আধুনিকতা সাথে তাল মিলিয়েই নিত্য নতুন পোশাক তৈরিতেই এখন তাদের মনোযোগ। কখনও সালোয়ার কামিজ বা কখনো পাঞ্জাবী তৈরিতে মেশিনে অবিরত চলছে খরখর শব্দে দর্জি কারিগরেরা কর্মব্যস্ত। ঈদ আনন্দে ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ ছোট বড় সকলে নতুন নতুন জামা কাপড় পরিধান করে থাকে।
মিজানুর রহমান ট্রেইলার্স বলেন, রোজার কয়েকদিন আগে থেকেই গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার পাওয়া শুরু হয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ফ্যাশন ডিজাইনের পোশাক বানানোর কারণে ক্রেতারা এখানে আসেন এই ঈদে বাড়তি চাপ থাকে। তবে মজুরী ডিজাইনের প্রকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৬’শ নেয়া হচ্ছে ৩২০ টাকা।
এদিকে দর্জির দোকানে আসা কয়েক জন অর্ডারী জানান, এবারও মজুরী বেড়েছে। মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আল রনি বলেন, এবার শিশুদের জামা-কাপড়, জুতা, বড়দের শাড়ি, শার্ট, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি ও জুতাসহ সব ধরনের পোশাকের দাম একটু বেশি। পরিবার নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি।
মাধবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন বলেন, গতবার যে পাঞ্জাবি দুই হাজার টাকায় সেই ধরনের পাঞ্জাবি এবার তিন, চার হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।
পাল গার্মেন্টসের মালিক জুটন পাল ও গৌরী বস্ত্রালয়ের মালিক সুমন চন্দ্র ঘোষ বলেন, এবার ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড় নেয়া হয়েছে। আশা করি আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের বেচাকেনা ভালো হবে। এবছর সকল ধরনের কাপড় তুলা হয়েছে। বেচাকেনা অনেক ভালো হচ্ছে। অনেক বিক্রেতা বলেন, সকাল থেকেই কেনাকাটার জন্য ভীড় করেছেন লোকজন। এবার রোজার শুরুতেই মার্কেট ও ফ্যাশন হাউস গুলোতে ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে। পোশাকের পাশাপাশি ভীড় জমেছে জুতা এবং প্রসাধনীর দোকানেও। এসব দোকানে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। জুতার বিভিন্ন শো-রুমে গিয়ে দেখা যায়, নতুন জুতা দেখছেন সব বয়সী ক্রেতারা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স